রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
সৌদি দূতাবাসের আয়োজনে রংপুরে হিফযুল হাদীস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ব্যাটারী চালিত ভ্যানে মাদক পরিবহন কালে আটক ১ পিকআপে মাদক পরিবহনকালে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার র‌্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার সংবাদিকের পিতার মৃত্যুতে ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের শোক ধুনটে জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপনে আলোচনা সভা রংপুর ক্যাডেট কলেজের আন্তঃহাউজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু সম্প্রীতির দেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রংপুরে ইসলামী আন্দেলনের গণ সমাবেশ কিশোরগঞ্জে বিলুপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যানকে স্বপদে বহালের দাবি ঠাকুরগাঁওয়ে নানা আয়োজনে প্রাক-বড়দিন উদযাপন নবম বারের মতো শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক হলেন প্রফেসর আজাদ ফুলবাড়ীতে মাদক কারবারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সোনালী সকাল ও সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের প্রীতি ম্যাচ সম্পন্ন থানচিতে মহান বিজয় দিবস পালন জলঢাকায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস পালন বিজয় দিবসে রাজশাহী জেলা পরিষদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন বিজয় দিবস উপলক্ষে রংপুর মহানগর জামায়াতের আলোচনা সভা লক্ষ্মীপুরে ইউএনও অপসারণের দাবীতে বৈষম্যের মানববন্ধন নড়াইলে ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজাসহ দুইজন গ্রেফতার

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলে পাঠদান

মাহবুব আলম- ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ভাঙা ছাদ থেকে প্রায়ই পলেস্তারা খসে পড়ছে। ছাদের পলেস্তারা পড়ে গিয়ে রড বেরিয়ে গেছে। বৃষ্টি এলেই ছাদ চুইয়ে পড়ছে পানি। এ ছাড়া কক্ষের দেয়াল, ছাদ, পিলার ও বিমে ধরেছে ফাটল। শ্রেণিকক্ষের মেঝে দেবে গেছে অনেকাংশে।

এমন ঝুঁকির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের ধুকুরিয়া-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা। বিদ্যালয়টির এমন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় অভিভাবকেরা তাঁদের কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন। এদিকে বিদ্যালয়টির একমাত্র ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

আজ বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়- বিদ্যালয়টির জরাজীর্ণ চার কক্ষের ভবনের একটি তালাবদ্ধ, একটিতে বিদ্যালয়ের কার্যালয় আর দুটিতে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ভাঙা ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বেরিয়ে আছে। বৃষ্টি এলেই পড়ে পানি। কক্ষের দেয়াল, ছাদ, পিলার ও বিমে ফাটল ধরেছে। অনেক জায়গায় শ্রেণিকক্ষের মেঝে দেবে গেছে। এ অবস্থায় জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় শতাধিক কোমলমতি শিশু পাঠ গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়- ১৯৯৩ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ধুকুরিয়া-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৯৪ইং সালে চার কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। সেই থেকে এ ভবনের তিনটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও একটি কক্ষ বিদ্যালয়ের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের অনেক জায়গায় দেয়াল, পিলার ও বিমে ফাটল। দেবে গেছে মেঝে এবং খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে চারজন শিক্ষক পড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি।

বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী মুজাহিদ ও চতুর্থ শ্রেণীর শাকিলা বলে, ভাঙা কক্ষে পড়তে তাদের অনেক ভয় লাগে। এমনকি পড়া চলাকালে প্রায়ই ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে।

তৈয়ব আলী নামে একজন অভিভাবক বলেন- ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাঁরা শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন। যে কারণে অনেকে তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে দ্বিধাবোধ করেন। কর্তৃপক্ষের দ্রুত এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম বলেন- বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি এমন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ নিয়ে তাঁরা উদ্বেগ–উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। বিকল্প দুটি টিনসেল ঘর তৈরি করা হয়েছে। এতে সংকুলান না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে শিশুদের পড়াতে হচ্ছে। এতে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। ভবনের বর্তমান অবস্থা ও ৩৩ শতাংশ জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের চাহিদা জানিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোতে একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

স্কুলের শিক্ষক প্রতিনিধি রেজাউল হক জানান- ভবন আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ যেকোন মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইসাহাক আলী জানান- এক বছর পূর্বে আমি সভাপতি হয়েছি, শুনেছি প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে জানালেও কোনো প্রতিকার হয়নি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আজিজার রহমান জানান- ঝুঁকি পূর্ণ শ্রেণী কক্ষে পাঠদান নিষেধ করা হয়েছে। এ ব‍্যাপারে চলমান প্রক্রিয়া রয়েছে। আশা করছি অচিরেই বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com